Skip to main content

জার্মানিতে স্বীকৃতির পথে ইসলামের অগ্রযাত্রা অব্যাহত



নিউজ এক্সপ্রেস ২৪ ডেস্ক



ঢাকা : ব্রেমেন হচ্ছে তৃতীয় জার্মান রাজ্য যারা ইসলামি সংগঠনকে ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ ছুটি, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কিংবা ধর্মীয় উপদেশ প্রদানের মতো বিষয়গুলো এখন রাজ্য চুক্তির আওতায় করা যাবে৷
 
ব্রেমেন রাজ্যের সঙ্গে এই চুক্তিকে কার্যত ঐতিহাসিক মনে করছেন ইরোল প্যুর্লু৷ জার্মান মুসলিম কোর্ডিনেশন কাউন্সিলের এই মুখপাত্র চুক্তির দিনটিকে আখ্যা দিলেনআনন্দের দিন' হিসেবে৷

বর্তমানে জার্মানিতে তিনটি ইসলামী সংগঠনকে ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে৷ প্যুর্লু বলেন, ‘‘এর ফলে একটি পরিষ্কার বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে৷ আর তা হচ্ছে, ইসলাম জার্মানির অংশ৷'' 

ইসলামি সংগঠনকে ধরনের স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রেমেনের অবস্থান তৃতীয়৷ এর আগে গত নভেম্বরে হামবুর্গ একটি সংগঠনের সঙ্গে এরকম একটি চুক্তি করে৷ এরপর ডিসেম্বর মাসে হেসে রাজ্য দুটি ইসলামি সংগঠনকে এরকম স্বীকৃতি দিয়ে সেখানকার বিদ্যালয়ে ধর্মীয় ক্লাস নেওয়ার অনুমতি দেয়৷

এখানে বলা প্রয়োজন, জার্মানির বিভিন্ন রাজ্য এবং মুসলিম সংগঠনগুলোর মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে ছিল৷ ২০১০ সালে এক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে৷ আর এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা পালন করে ইসলামি সংগঠন ডিআইটিআইবি এবং ভিআইকেজেড৷ তারা নিজেদের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে দীর্ঘ সময় ধরেই প্রচারণা চালাচ্ছে৷

ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতির ফলে কি সুবিধা হবে, সেটা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে৷ অন্যান্য সুবিধা ছাড়াও এই কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষা প্রদান করতে পারবে৷ এতদিন রাজ্য কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে আসছিল৷ স্বীকৃতির ফলে সেই বাধা দূর হচ্ছে৷ এছাড়া, ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন উপলক্ষ্যে ছুটি গ্রহণের সুযোগ তৈরি হচ্ছে এই স্বীকৃতির ফলে৷ তার মানে হচ্ছে, মুসলিম স্কুল শিক্ষার্থী এবং চাকুরিজীবীরা ঈদ বা রকম ধর্মীয় উৎসবে ছুটি নিতে পারবে৷
 
স্বীকৃতির ফলে কারাগারে, হাসপাতালে কিংবা অন্যান্য সরকারি সংস্থায় মুসলমানদের খোঁজখবর নেওয়ার সুযোগ পাবে ইসলামি সংগঠনগুলো৷ পাশাপাশি আইনি কাঠামোর ভেতরে থেকে মসজিদ নির্মাণ এবং মৃতকে ইসলামি পদ্ধতিতে দাফন, মানে কফিন ছাড়া শুধু কাফনের কাপড় পরিয়ে শুইয়ে দেওয়ার অনুমতিও পাবে মুসলমানরা৷ আপাতত হামবুর্গ, হেসে এবং ব্রেমেনের ক্ষেত্রে এসব নিয়মনীতি প্রযোজ্য হবে৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স