Skip to main content

কার্টুন ‘ডরেমন’ বন্ধ



নিউজ এক্সপেস ২৪



ঢাকা : শিশুদের পড়ালেখার জন্য ক্ষতিকর বিবেচনা করে কার্টুনডোরেমন’ সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে সরকার

সম্প্রতি জাতীয় সংসদের এক অধিবেশনে এক সংসদ সদস্য ডিজনি চ্যানেলে সম্প্রচারিত এই কার্টুনটি সম্প্রচার বন্ধের আহ্বান জানানোর ১১ দিনের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সংসদে এ কথা জানান

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘কার্টুন ছবি ডোরেমন প্রচারে শিশুদের পড়ালেখার পরিবেশ বিনষ্ট হোক এটা সরকার চায় না।’

তিনি জানান, ইতোমধ্যে সরকার অনুমোদনহীন বিদেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ডিজনি, ডিজনি এক্সডি পোগো সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এর ফলে ডোরেমন কার্টুন সম্প্রচার বন্ধ হয়েছে।


ডিজনি চ্যানেলে প্রচারিত জাপানি কার্টুন ডোরেমন দেশে শিশুদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এ কার্টুনটি হিন্দিতে ভাষান্তরিত হয়ে প্রচারিত হয়।

জাতীয় সংসদে হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে ডোরেমন সম্প্রচার বন্ধের বিষয়টি জানান মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম ডোরেমন বন্ধের দাবি তুলে সংসদে বলেছিলেন, ‘এর মতো কার্টুনের প্রভাবে শিশুরা বাংলা বলতে ভুলে যাচ্ছে তাদের মনোবিকাশ ব্যাহত হচ্ছে।’

তথ্যমন্ত্রী জানান, বিদেশি যেসব চ্যানেল বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, সেই সব চ্যানেল বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের চ্যানেল ভারতে প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শনের ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান আমদানি নীতিতে বাংলাদেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনের কোনো সুযোগ নেই।’

এ সময় দেশে বর্তমানে ৫৮১টি পত্রিকা, ২২টি টেলিভিশন দেড়শ’ অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

(ওএসআর/এসকে/১৪.০২.১৩)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স