Skip to main content

স্ত্রীকে দেখতে বিমান ছিনতাই!




নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া থেকে কায়রোগামী অভ্যন্তরীণ রুটের বিমান অপহরণ 'নাটকের' সমাপ্তি হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ৬৩ জন আরোহী নিয়ে কায়রোর উদ্দেশে উড্ডয়ন করে ইজিপ্টএয়ারের এ৩২০ সিরিজের ওই বিমান। এমএস১৮১ ফ্লাইটের ওই বিমানের ৫৬ জন যাত্রীর মধ্যে ২৬ জনই ছিলেন মিশরের বাইরের।

উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরকভর্তি 'সুইসাইড ভেস্ট' রয়েছে এমন দাবি করে এক যাত্রী বিমানটি অপহরণ করে সাইপ্রাসের লারনাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণে বাধ্য করেন। এরপর বিমান থেকে বেরিয়ে হাত মাথার ওপর তুলে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছে আত্মসমর্পন করেন ওই অপহরণকারী। পরে বিমানটির সব যাত্রীকে মুক্ত করা হয়। এরপর লারনাকা বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিমান ছিনতাইয়ের পেছনে ওই যাত্রীর উদ্দেশ্য কী ছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে তিনি সাইপ্রাসে থাকা তার সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন বলে আগে খবর পাওয়া গিয়েছিল। কথিত ওই অপহরণকারী সাইপ্রাসে আশ্রয় চেয়েছেন বলেও খবর পাওয়া যায়।

অন্য এক খবরে অবশ্য ওই ছিনতাইকারীকে মিশরের কারাগারে থাকা সব নারী বন্দীদের মুক্তি দাবির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, লারকানা বিমানবন্দরে অতরণের পর অপহরণকারী ওই যাত্রী আরবিতে লেখা চার পাতার একটি চিঠি সাইপ্রাসের কর্মকর্তাদের কাছে দিয়েছেন। পরে ওই বক্তির স্ত্রী পরিচয়ে এক নারী লারকানা বিমানবন্দরে আসেন।

সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস আনাস্তাসিয়াদেস এ ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন। বিমান্টিক কারণে ওই ব্যক্তি বিমান অপহরণ করেছিলেন কি-না এমন প্রশ্নে তিনি হেসে বলেন, 'এ ঘটনায় একজন নারী জড়িত রয়েছেন।' সূত্র: বিবিসি

(এসকে/মার্চ ২৯, ২০১৬)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স