Skip to main content

পাঁচ ডলারে ‘ট্রাম্প’কে কিল-ঘুষি-লাথি




নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের আদি বাসিন্দা হলে কী হবে, এই শহরে তাকে পছন্দ করে এমন মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়। অবৈধ অভিবাসী, মুসলমান ও আফ্রিকান-আমেরিকানদের নামে কটূক্তি করে তিনি এখন এতই নিন্দার পাত্র যে একজন পথশিল্পী (স্ট্রিট পারফর্মার) নিজে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেজে তাকে ইচ্ছেমতো কিল-ঘুষি ও লাথি দিতে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। তবে সে জন্য অল্পবিস্তর কাঁচা টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

এই পথশিল্পীর নাম কালান শেরাড। তিনি অবশ্য নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেই ভালোবাসেন। ট্রাম্পের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে আপত্তি প্রকাশের জন্য কালান নিজেই ট্রাম্প সেজে ম্যানহাটনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। যেকোনো ব্যক্তি চাইলে ট্রাম্পরূপী কালানকে কষে এক লাথি বসাতে পারেন। এ জন্য দিতে হবে পাঁচ ডলার।

‍কেউ যদি ট্রাম্পের ওপর আরও নাখোশ হন এবং তার গায়ে মূত্রত্যাগ করে নিজের ক্রোধ প্রকাশ করতে চান, তার ব্যবস্থাও আছে। তবে সে জন্য পকেট থেকে খসাতে হবে ৩০০ ডলার। রাস্তাঘাটে মূত্রত্যাগ যুক্তরাষ্ট্রে আইনত দণ্ডনীয়। কালান সে দণ্ড নিজের ঘাড়ে নিতে প্রস্তুত। সে জন্য আগ্রহী পথচারীর খেসারতের পরিমাণ একটু বেশি। কালান এর মধ্যে এই অপরাধে বার তিনেক গ্রেপ্তার হয়েছেন।

ট্রাম্পবিরোধী আরেক শিল্পীর নাম বিশ্বজিৎ সিং। নামজাদা আঁকিয়ে এই শিখধর্মাবলম্বী অবশ্য প্রতিবাদের কিছুটা নরম পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি ট্রাম্পের নানা ব্যঙ্গ কার্টুন এঁকে তা ট্রাম্পের নামে পাঠানো শুরু করেছেন। প্রতিটিতে রয়েছে ট্রাম্পের জন্য একটি বার্তা। যেমন সাম্প্রতিক পোস্টকার্ডে এক স্কুলবালকের মন্তব্য রয়েছে। সে ট্রাম্পকে লিখছে, ‘আমার বাবা তোমাকে পছন্দ করে, মা করে না। আমি নিজে খুব ঝামেলায় আছি, কারণ তোমার কথাবার্তা আমার স্কুলের কিছু কিছু বোকা ছেলের মতো শোনায়।’

এখানেই থামেননি বিশ্বজিৎ সিং। বলেছেন, অন্যরাও তার আঁকা কার্টুন ট্রাম্পকে পাঠাতে পারেন। এ জন্য তিনি Sikhtoons.com নামে একটি ওয়েবসাইট করেছেন।

(এসকে/এপ্রিল ১৬, ২০১৬)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স