Skip to main content

জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে প্রমাণ পায়নি ভারত




নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা (এসআইডি) ইসলাম ধর্ম প্রচারক ডা. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পায়নি। তাই তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত জাকির নায়েক দেশে ফিরলেও তাকে গ্রেফতার করা হবে না। প্রাথমিক তদন্তে এসআইডি জাকির নায়েকের শত শত ভিডিও ও লেকচার পরীক্ষা করে দেখেছে। দেশে ও দেশের বাইরে অনুষ্ঠানের বক্তব্যও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় এক যুবকের জাকির নায়েকের লেকচার শুনে আইএসে যোগদান করার অনুপ্রেরণা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। এর আগে গত সোমবার এক পুলিশ কর্মকর্তা দ্য হিন্দুকে জানান, “ইংরেজিতে ধর্ম প্রচার করা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে না। কোনো কোনো বক্তৃতায় বড়জোর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার অভিযোগ আনা যেতে পারে, কিন্তু ওই সব বক্তৃতার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে এখনই মামলা করার কোনো সুযোগ নেই। তবে আমরা তার চলাফেরা নজরদারিতে রেখেছি।”

গোয়েন্দা পুলিশ পত্রিকাটিকে জানিয়েছে, ভারতে ফেরার পর তারা জাকির নায়েককে আটক করবে না। এমনকি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করারও কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। কারণ, ওই বক্তার বিভিন্ন বক্তব্য ও কার্যকলাপ খতিয়ে দেখার পর জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তার সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি মহারাষ্ট্র সরকার।

প্রসঙ্গত, ওমরাহ পালন করার জন্য বর্তমানে সৌদি আরব সফরে রয়েছে ওই ইসলামী চিন্তাবিদ। সম্প্রতি গুলশানের অভিজাত রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার পর জাকির নায়েককে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। হামলাকারীদের দুজন তার ভক্ত ছিল বলে প্রকাশ পাওয়ার পরই তার বক্তব্যগুলো খতিয়ে দেখতে শুরু করে ভারত সরকার। এমনকি তাকে দেশে ফেরা মাত্রই গ্রেপ্তার করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মহারাষ্ট্র পুলিশের এই বক্তব্যের পর এটি এখন স্পষ্ট যে, আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে ভারত।

এদিকে ভারত সরকারের এই তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার নির্ধারিত ভারত সফর বাতিল করেন জাকির নায়েক। তার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি সৌদি থেকে আফ্রিকা যাবেন। জাকির নায়েক বলেছেন, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে এ নিয়ে কোনো ভারতীয় সংস্থা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। ভারতীয় এই ইসলামী চিন্তাবিদ আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্কাইপে কনফারেন্সে নিজের অবস্থান তুলে ধরবেন বলেও জানিয়েছেন। তথ্যসূত্র: দ্য হিন্দু, বিবিসি বাংলা।

(এসকে/জুলাই ১৩, ২০১৬)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স