Skip to main content

পোশাকি আচরণের মর্মস্পর্শী ঘটনা




নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : ভালো পোশাক পরলে ভালো অভ্যর্থনা পাওয়া যায়৷ আর পোশাক বা চেহারা খারাপ হলে জোটে তিরস্কার৷ মহাকবি শেখ সাদীর বেলায়ও ঘটেছিল সেই ঘটনা৷ কিন্তু তিনি যেভাবে জবাব দিয়েছিলেন, ছোট্ট এই মেয়েটি সেই জবাব দিতে পারেনি৷

ইউনিসেফ সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রতিবেদন বানিয়েছে৷ যার শিরোনাম ‘উড ইউ স্টপ ইফ ইউ স দিস গার্ল অন দ্য স্ট্রিট?' অর্থাৎ ‘এই মেয়েটিকে রাস্তায় দেখলে তুমি কি একটু দাঁড়াবে?’ (ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=MQcN5DtMT-0)

আনানো ছ'বছরের শিশু অভিনয় শিল্পী৷ জর্জিয়ার একটি রাস্তায় মেকআপ করে, সুন্দর জামা পরিয়ে দাঁড় করানো হয়েছিল তাকে৷ একলা দেখে অনেকেই এগিয়ে এসে তার কুশল-সংবাদ নিয়েছিল, চেয়েছিল সে হারিয়ে গেছে কিনা৷ মজা হলো, এরপর মেয়েটির মুখে কালি-ঝুলি লাগিয়ে, নোংরা পোশাক পরিয়ে আবারো দাঁড় করানো হয়েছিল রাস্তায়৷ অবাক কাণ্ড! এবার মানুষের প্রক্রিয়া ছিল একেবারেই ভিন্ন৷ আর এই ভিডিওটি দেখলেই তা বুঝবেন৷

রাস্তার পর এক রেস্তোরাঁয় একইভাবে আনানোকে দু'বার দু'রকমের পোশাক পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ সেখানেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখা গেল৷

ভালো পোশাকে তার প্রতি মানুষের আগ্রহ যে কতটা ছিল, তা দেখলেই বুঝবেন৷ কিন্তু নোংরা পোশাকে মানুষের প্রতিক্রিয়া এই ছোট্ট মেয়েটি সহ্য করতে পারেনি৷ যারা পরীক্ষাটি করছিলেন, তারা তখন বাধ্য হন এটি আর না চালিয়ে যাওয়ার৷ কেননা আনানো ভীষণ বিমর্ষ হয়ে পড়েছিল মানুষের আচরণে৷ তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল – কেন এতটা বিমর্ষ হলে তুমি? জবাব আনানো বলেছিল, ‘‘জামা-কাপড় নোংরা, মুখে কালি – এটা আমার মোটেই ভালো লাগছে না৷'' আসলে আনানো নোংরা পোশাকে খুবই দুঃখী হয়ে পড়েছিল৷ তার সবচেয়ে কষ্ট লেগেছিল, যখন ঐ পোশাক পরার ফলে মানুষ তাকে চলে যেতে বলেছিল, তাড়িয়ে দিচ্ছিল৷

সে একজন ক্ষুদে শিল্পী হওয়ার পরেও যখন তার প্রতি মানুষের এমন প্রতিক্রিয়া, তাহলে রাস্তায় পড়ে থাকা লাখো, অবহেলিত শিশুদের কথা একবার ভাবুন৷ একবার ভাবুন তাদের কেমন কষ্ট হয়!

ইউটিউবে এখন পর্যন্ত এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে ২১ লাখ ৩৮ হাজার বার৷ ফেসবুকে শেয়ার হয়েছে প্রায় ২৯ লাখ বার৷

(এসকে/জুলাই ২৯, ২০১৬)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স