Skip to main content

প্রিজমা কিনে নেবে ফেসবুক?

 
 
 
নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে একটি ধারা লক্ষ করা যাচ্ছে। ছোট ছোট উদ্যোগ জনপ্রিয় হলে আর ব্যবহারকারী বেড়ে গেলে তা বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর অধীনে চলে যাচ্ছে। প্রিজমার ক্ষেত্রেও কি তা-ই ঘটতে যাচ্ছে? প্রযুক্তি বিশ্বে জোর গুঞ্জন, ছবিকে শিল্পকর্মে রূপান্তর করার উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান প্রিজমা ল্যাবকে অধিগ্রহণ করতে পারে ফেসবুক। এর আগে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করেছে।

সম্প্রতি প্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রিজমার সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্সি মসিনকভ যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে গোপন বৈঠকে বসেছিলেন।

তবে এ বৈঠক নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি মসিনকভ। তিনি বলেন, সিলিকন ভ্যালিতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের প্রচারে গিয়েছিলেন।

খুব কম সময়ের মধ্যেই ছবি সম্পাদনার অ্যাপ প্রিজমা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। গত জুন মাসে উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রিজমা অ্যাপ ব্যবহার করে সাড়ে ছয় কোটির বেশি ছবি সম্পাদনা করা হয়েছে।

ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মসিনকভ বলেন, প্রিজমা এমন একটি টুল নিয়ে কাজ করছে, যা ছবির পাশাপাশি ছোট ভিডিও ক্লিপেও ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ, ভিডিও ক্লিপেও প্রিজমা ইফেক্ট ব্যবহার করা যাবে।

জুন মাসে অ্যাপটি আইওএসের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত আইওএস ডিভাইসে ১ কোটি ৬৫ লাখবার ডাউনলোড হয়েছে অ্যাপটি। অ্যান্ড্রয়েডে উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন অ্যাপটি ২০ লাখ ডাউনলোড হচ্ছে। অ্যাপটিতে ৩০টি ছবির ইফেক্ট বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

(এসকে/জুলাই ৩০, ২০১৬)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স