Skip to main content

গরুর মাংসেই বোল্টের সাফল্য: ভারতীয় মন্ত্রী




নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : অলিম্পিকে এবার নিয়ে মোট ৯টি সোনা জয় করেছেন জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্ট। কিন্তু বোল্টের সোনা জয়ের পেছনের রহস্য বের করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির (ভারতীয় জনতা পার্টি) সংসদ সদস্য ও দলিত নেতা উদিত রাজ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় মন্ত্রী উদিত রাজ মন্তব্য করেছেন, উসাইন বোল্টের এমন সোনা জয়ের সাফল্যের কারণ হলো তিনি গরুর মাংস খান- আর এই মন্তব্য ভাইরাল হয়ে পড়েছে।

গো-মাংস নিয়ে এমন মন্তব্যের কারণে মানুষের তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে হচ্ছে রাজকে। রাজ টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, “জ্যামাইকান উসাইন বোল্ট গরীব ছিলেন। তার প্রশিক্ষক তাকে গরুর মাংস খেতে বলে এবং সে অনুযায়ী চলার কারণে অলিম্পিকে নয়টি সোনা জয় করতে পেরেছেন উসাইন বোল্ট।”

আর এরপরেই টুইটারে নানা ধরনের মন্তব্য আসতে থাকে। একজন মন্তব্য করেন, “বিজেপির এই এমপি উসাইন বোল্টের নাম নিয়ে মানুষকে গরুর মাংস খেতে উৎসাহিত করছেন।” দিলিপ জেইন নামে একজন লিখেন, “এটা একটা অর্থহীন টুইট, আশা করি রাজ তার পরবর্তী টুইটে এর সংশোধন করবেন।” তা অবশ্য করেছেন উদিত রাজ।

বিতর্ক জোরালো হবার পর গো-মাংস ও বোল্ট নিয়ে নিজের টুইটের ব্যাখাও দেন তিনি। রাজ লিখেন, ''আমি গরুর মাংস খেতে মানুষকে উৎসাহ দেইনি।আমি শুধু বুঝানোর চেষ্টা করেছিলাম গরীব হয়েও উসাইন বোল্ট কিভাবে এতগুলো সোনা জয় করতে সক্ষম হলো। বোল্টের সাফল্য দেখে যেন আমাদের খেলোয়াড়েরাও উৎসাহী হয় সেটাই আমি চাইছিলাম। বুঝাতে চাইছিলাম, পরিকাঠামো ছাড়াও অর্থ না থাকলেও মনের জোর থাকলে সাফল্য পাওয়া যায়।” তথ্যসূত্র: বিবিসি।

(এসকে/আগস্ট ২৯, ২০১৬)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স