Skip to main content

অনলাইনে স্ত্রী বিক্রির বিজ্ঞাপন




নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : নাম- লিয়েন্ড্রা। বয়স- ২৭। স্ট্যাটাস- ব্যবহৃত স্ত্রী। তবে এখনো তার মধ্যে অনেক কিছু বাকি রয়েছে। ভাল গুণ- রান্না ভালই পারেন। তবে অনেক সময় তা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে হয়। খারাপ গুণ- কোনো জিনিস চাইলে তা না পাওয়া পর্যন্ত শান্ত হন না। বিক্রির কারণ- স্ত্রীকে নিয়ে আমি বিরক্ত। এবার তার জীবনে অন্য কেউ আসা প্রয়োজন। শর্ত- একবার কিনে নিলে তা আর ফেরত নেওয়া হবে না।

অনলাইনে এমন বিজ্ঞাপন দেখে চমকে উঠেছেন অনেকে। অনেকে আবার বেশ আমোদিত।

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ৩৩ বছর বয়সী সিমোন ও’কানে। পেশায় টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার। স্ত্রীর লিয়েন্ড্রাকে বিক্রি করতে এমনই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন সিমোন।

কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন সিমোন? অভিযোগ, স্ত্রীর জ্বালায় নাকি ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তিতে থাকতে পারেন না তিনি। অফিস থেকে রোজ ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরতেন। আর বাড়িতে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লিয়েন্ড্রা চিৎকার জুড়ে দিতেন। যে কোনো ছোটখাটো বিষয় নিয়েই চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। দিন কয়েক আগেও এমন ঘটনার পর ভয়ঙ্কর বিরক্তিতেই নাকি এই কুবুদ্ধিটা মাথায় খেলে। দেরি না করে অনলাইন কেনাবেচার সাইটে বউ বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে দেন।

স্ত্রীর একটি ছবির সঙ্গে তার সম্পর্কে নানান তথ্য ওই ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেন সিমোন। বিজ্ঞাপনটির হেডলাইন দেওয়া হয়েছিল ‘ব্যবহৃত স্ত্রী বিক্রি আছে’।

সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কে বিশদ বিবরণও দেন তিনি। বিবরণের মধ্যে সৃষ্টিকর্তার কাছে কাতর মিনতিও ছিল, ‘হে সৃষ্টিকর্তা, প্লিজ কেউ যেন তাকে পছন্দ করে নেন।’

বিস্ময়করভাবে সত্যি সত্যিই বেশ সাড়া মেলে বিজ্ঞাপনে। ‘ইচ্ছুক’ বেশ কয়েকজন সিমোনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মাত্র দু’দিনের মধ্যে দরাদরিতে ‘দাম’ ওঠে ৫৮ লক্ষ ১১ হাজার ৮৯ টাকা!

ইতোমধ্যেই বিজ্ঞাপনটি নজরে পড়ে যায় অনলাইন সংস্থাটির। সঙ্গে সঙ্গে বাদ দিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যায়।

এদিকে স্বামীর এই কীর্তিতে কর্মক্ষেত্রে চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় লিয়েন্ড্রাকে। প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত, দুই সন্তানের মা, লিয়েন্ড্রা বলছেন, ‘‘আমাকে শুধু বিক্রির বিজ্ঞাপণ দিয়েছে তাই নয়, আমার খুব বাজে একটা ছবিও আপলোড করেছে। ওকে আমার খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করছিল।’’

আর এত কাণ্ড ঘটালেন যিনি, সেই সিমোনের বক্তব্য, নেহাত মজা করেই নাকি এসব করেছে তিনি। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

(এসকে/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৬)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স