Skip to main content

রোহিঙ্গাদের নির্মূলের চেষ্টা হচ্ছে : মালয়েশিয়া




নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ‘জাতিগতভাবে নির্মূলের’ চেষ্টা বলে অভিহিত করেছে মালয়েশিয়া। আজ শনিবার মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ মনোভাব প্রকাশ করে।

“আশিয়ানের (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশন) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির প্রতি অবিচল থেকে সার্বভৌম সম্পর্কগুলোর প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রদ্ধা দেখানো উচিত”, গত শুক্রবার মিয়ানমারের এমন বক্তব্যের পর কঠোর এ বিবৃতি দিল মালয়েশিয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়, “ঘটনা হচ্ছে শুধুমাত্র একটি নৃগোষ্ঠীকে বিতাড়িত করা সংজ্ঞামতে জাতিগত নির্মূলকরণ। এই কাজ এখনই বন্ধ করতে হবে এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এগুলো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।”

রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার উপস্থিতি বিষয়টিকে একটি ‘আন্তর্জাতিক ইস্যুতে’ পরিণত করেছে।

রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রবিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি মিছিলের পরিকল্পনা করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ও তার সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এই মিছিলে উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো দমনপীড়নের বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে গত সপ্তাহে মালয়েশীয় পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পাশাপাশি দুদেশের অনুর্ধ-২২ জাতীয় দলের প্রীতি ফুটবল ম্যাচও বাতিল করে দেশটি।

মিয়ানমার যে পদ্ধতিতে দেশের রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে সহিংসতা মোকাবিলা করছে তার বিষয়ে ক্রমেই সমালোচনামুখর হয়ে উঠছে মুসলিম প্রধান দেশ মালয়েশিয়া। রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা দমনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করছে এমন অভিযোগ উঠেছে। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতিতে শত শত রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বা করার চেষ্টা করছে।

২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ট রাখাইনদের সঙ্গে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা। তারপর থেকে এবারের সহিংসতাই সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী রূপ নিয়েছে।

(এসকে/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স