Skip to main content

ইসলাম গ্রহণ করেছেন লিন্ডসে লোহান!




নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক

হলিউড অভিনেত্রী লিন্ডসে লোহান সম্প্রতি ব্যক্তিগত টুইটার এবং ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের সব ছবি সরিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ইন্সটাগ্রাম পেজে তিনি ইংরেজিতেআলাইকুম সালাম’- লিখে রেখেছেন। ঘটনায় ধারণা করা হচ্ছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেনদ্য মিন গার্লস’-খ্যাত অভিনেত্রী। ডেইলি মিরর, ডেইলি মেইলসহ একাধিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। তবে ব্যাপারে এখনও লিন্ডসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি
২০১৫ সালে একবার কোরআন শরীফ হাতে লিন্ডসে লোহানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তখন এর ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি বলেছিলেন, সৌদি বন্ধু এটি উপহার হিসেবে তাকে দিয়েছে। গত বছর অক্টোবরে লিন্ডসে যখন তুরস্কে সিরিয়ার শরণার্থীদের একটি শিবির পরিদর্শনে যান তখন তিনি হিজাব পরিহিত ছিলেন। সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে লোহান তুরস্ক ভ্রমণ করেন। ওই সময় তিনি একটি কবিতায় লেখেন, ‘কিছু সময় আমি তার কণ্ঠ শুনি যিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। কিন্তু পৃথিবীতে আমরা ভয়ের মধ্যে বসবাস করি।

গত বছর তুর্কি টেলিভিশনের একটি টকশোতে লোহান কোরআন শরীফ সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘এটি আমার জন্য আধ্যাত্মিকতা জগতের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে, যাতে আমি আরেকটি সত্যকে খুঁজে পেয়েছি। এটাই সেই আমি।২০১৫ সালের পবিত্র কোরআন হাতে ছবিটির জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন লোহান। সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকায় তারা আমাকে এর জন্য কঠোর সমালোচনা করেছে। তাদের কাছে শয়তানের মতো করে উপস্থাপন করেছে। কোরআন হাতে ধরায় তাদের কাছে আমি খারাপ মানুষে পরিণত হয়েছি।সে সময় লোহান ডেইলিমেইলকে বলেছিলেন, 'আমার লন্ডনস্থ সৌদি আরবের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু যে কিনা আমার জন্য অনেক কিছু করে সে আমাকে এই কোর আন শরীফ উপহার দিয়েছে। আমি এটা পড়ার জন্য, শেখার জন্য নিয়েছি। এটা আমাকে স্বর্গীয় অভিজ্ঞতার দরজা খুলে দিয়েছে। আমি কে, এর সত্যিকার অর্থ এই গ্রন্থে খুঁজে পেয়েছি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ৩০ বছর বয়সী অভিনেত্রীর ৫৭ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। তাদের অনেকেই লোহানের এমন পরিবর্তন খুশি হয়েছেন। তারা নানা ধরনের মন্তব্যও করছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি শুনেছি লিন্ডসে লোহান ইসলাম গ্রহণ করেছেন। যদি সত্য হয়, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন।
(এসকে/জানুয়ারি ১৮, ২০১৭)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স