Skip to main content

জিতলে ৬ লাখ, হারলে ১০ লাখ!




নিউজ এক্সপ্রেসে ডেস্ক : এবারো লা লিগার শিরোপা নিষ্পত্তি হচ্ছে শেষ দিনে। রোববার রাত ১২টায় বার্সেলোনা যখন ন্যু ক্যাম্পে মুখোমুখি হবে এইবারের। ঠিক একই সময়ে মালাগার আতিথ্য নেবে রিয়াল মাদ্রিদ। যে ম্যাচে রিয়ালকে হারালে যতটা লাভ হবে মালাগার এর চেয়ে লাভ হবে যদি রিয়াল ড্র করে কিংবা ম্যাচটা জেতে! লাভটা ৪ লাখ ইউরোর!

লা লিগায় গত মৌসুমেও শেষ ম্যাচটা জমে উঠেছিল। সেবার রিয়ালকে শুধু নিজেদের ম্যাচ জিতলেই চলত না, বার্সাকেও হোঁচট খেতে হতো তাদের ম্যাচে। কিন্তু দুই দলই নিজ নিজ ম্যাচ জেতায় শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্টের ব্যবধানে লিগ জেতে বার্সেলোনা। এবার দান উল্টেছে, শেষ ম্যাচ ৩ পয়েন্ট এগিয়ে শুরু করবে রিয়াল। তাই এবার বার্সাকে শুধু নিজেদের ম্যাচ জিতলে চলবে না, রিয়ালকে হারতে হবে মালাগার কাছে। উল্টোদিকে মাত্র ১ পয়েন্ট পেলেই চলবে রিয়ালের। তাহলেই শিরোপা উৎসবে মাতবে জিনেদিন জিদানের দল। কদিন আগেই অবনমন অঞ্চলে ঘুরপাক খাওয়া মালাগার বিপক্ষে কাজটা কঠিন হওয়ার কথা নয়।

তবে এ ম্যাচেও জান-প্রাণ দিয়ে নামার কথা মালাগার। নতুন কোচের অধীনে ধারাবাহিক সাফল্যে লিগে ১১তম স্থানে উঠে এসেছে। কিন্তু সে অবস্থান ধরে রাখতে চাইলে রিয়ালের বিপক্ষে জয়টা জরুরি। তাহলেই ভ্যালেন্সিয়া ও সেল্টা ভিগো আর ছুঁতে পারবে না তাদের। লা লিগায় ১১ ও ১২তম অবস্থানের মাঝখানে প্রাইজমানিতে ৬ লাখ ইউরোর তফাৎ। অর্থাৎ রিয়ালকে হারালেই এবার বাড়তি ৬ লাখ ইউরো পাবে আন্দালুসিয়ার ক্লাবটি।

কিন্তু ঝামেলা বাঁধিয়ে দিয়েছেন ইসকো। ২০১৩ সালে মালাগা থেকে রিয়ালে যোগ দিয়েছেন এই মিডফিল্ডার। দলবদলের অঙ্কটা ২৭ মিলিয়ন ইউরো হলেও বাড়তি কিছু শর্ত ছিল সে চুক্তিতে। এর মাঝে একটি, ইসকো যদি রিয়ালে যোগ দেওয়ার প্রথম পাঁচ বছরে লা লিগা জেতেন তবে প্রতিটি শিরোপার জন্য ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) ইউরো পাবে মালাগা। আর সেটা সম্ভব যদি রিয়াল রোববার মালাগার বিপক্ষে না হারে। অর্থাৎ রিয়ালকে হারালে ৬ লাখ ইউরো আর না হারালে ১০ লাখ ইউরো! যদি সেল্টা ভিগো ও ভ্যালেন্সিয়া নিজেদের ম্যাচ জিতে যায় এবং মালাগা রিয়ালের সঙ্গে নিদেনপক্ষে ড্রও করে, তবুও ১২তম স্থান নিশ্চিত মালাগার। তাহলেই বাড়তি ৪ লাখ ইউরো পাবে তারা।

এসব সবই অবশ্য কাগজে-কলমের হিসাব। স্পেনের মাদ্রিদ কিংবা বার্সেলোনা ভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে আন্দালুসিয়ান ক্লাবগুলোর যে সম্পর্ক, তাতে শুধুমাত্র রিয়ালকে হারানোর আনন্দ পেতে স্বেচ্ছায় ৪ লাখ ইউরোর ক্ষতি মেনে নেবে মালাগা! সূত্র: গোলডটকম ও মার্কা।


(এসকে/মে ১৮, ২০১৭)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স