Skip to main content

মোবারকের পতনের পর মিশরের প্রথম সংবিধান

ডেস্ক রিপোর্ট, নিউজএক্সপ্রেস২৪ ডট কম



মিসরে সংবিধান কার্যকর করতে গত মঙ্গলবার রাতে এক আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। এর মধ্য দিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৩০ বছরের শাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর প্রথমবারের মতো সংবিধান পেল মিসর।

সংবিধান কার্যকর হওয়ায় মিসরে দুই মাসের মধ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা তৈরি হলো।

সংবিধান কার্যকরের পর মুরসির সমর্থক মুসলিম ব্রাদারহুড একসঙ্গে কাজ করার জন্য জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে। তবে মিসরের প্রধান বিরোধী জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট (এনএসএফ) শুরু থেকে এই খসড়া সংবিধানের বিরোধিতা করছে।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সূত্র জানায়, মুরসি মঙ্গলবার রাতে সংবিধান কার্যকর সংক্রান্ত এক আদেশে স্বাক্ষর করেন।

মোবারকের পতনের পরও মিসরে অস্থিতিশীলতা চলছে। ফলে অর্থনীতি নাজুক হয়ে পড়েছে। সংবিধান কার্যকর হলে দেশে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘাত আরও বাড়বে ভেবে কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাংকে জমা রাখা অর্থ তুলে নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। কেউ কেউ মিসরের মুদ্রা মার্কিন ডলারে পরিবর্তন করছেন। এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার মিসরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে বলেছে, ব্যাংকে অর্থের তারল্য ঠিক আছে। সবার অর্থই নিরাপদ থাকবে।

এদিকে গণভোটের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিসর থেকে কেউ বাইরে গেলে ১০ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি নিয়ে যেতে পারবে না। বহির্বিশ্ব থেকেও একই পরিমাণ অর্থের বেশি নিয়ে কেউ মিসরে ঢুকতে পারবে না।

মিসরে সংবিধান কার্যকরের পর এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র প্যাট্রিক ভেন্ট্রাল বলেন, প্রেসিডেন্ট মুরসি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা। তার বিশেষ দায়িত্ব আছে। এখন তার মূল কাজ হবে, যত দ্রুত সম্ভব মিসরের জনগণের মধ্যে বিভেদ দূর করা।

নির্বাচন কমিশন গত মঙ্গলবার গণভোটের ফল ঘোষণা করে। এতে দেখা যায়, সংবিধানের পক্ষে ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ ও বিপক্ষে ৩৬ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পড়ে। গণভোটে মোট ভোট পড়েছে ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ। ফল ঘোষণার পর মুরসিবিরোধীরা রাজধানী কায়রোর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, এএফপি।

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স