Skip to main content

জাবিতে র‌্যাগিং : ধরা খেয়ে কান ধরে উঠবস






নিউজ এক্সপ্রেস প্রতিবেদক : র‌্যাগিং দেওয়ার অপরাধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রসায়ন বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কান ধরে উঠবস করিয়েছেন সাবেক ভিসি ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। তিনি রসায়ন বিভাগেরই অধ্যাপক। গত শনিবার (১২মার্চ) রসায়ন বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় রসায়ণ বিভাগ পরিবার। নবীণবরণ শেষে  ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে জহির রায়হান মিলনায়তনের পেছনের গেটে নিয়ে র‌্যাগ দিতে থাকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সেখানে এসে তাদের বকাঝকা করে বিভাগে ফিরে যেতে বলেন।

এ খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির তাদের কান ধরে উঠবস করান। পরবর্তীতে এমন কাণ্ড না করার মুচলেকা নেন। এনামুল কবির বলেন, “নতুনদের সবে বরণ করে নেওয়া হল। আর এরই মধ্যে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজের মুখমুখি হতে হলো। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজকে আমরা কখনো সমর্থন করি না। যারা এ কাজ করবে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।”

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, সহকারী প্রক্টর শিকদার মো. জুলকারনাইন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহলি, সহযোগী অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতি বছরের মতো এবারো র‌্যাগিংয়ের মত ভয়াবহ মানসিক ও শারীরিক লাঞ্ছনার হাত থেকে নবাগত শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে। র‌্যাগিংয়ের ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন হল প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টরিয়াল টিম, বিভাগীয় সভাপতি সবাই।

অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির যখন উপাচার্য ছিলেন তখন থেকেই র‌্যাগের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সোচ্চার ছিলেন। সে ধারা এখনো অব্যাহত আছে।

(এসকে/মার্চ ১৪, ২০১৬)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স