Skip to main content

‘পোকেমন গো’র নেশায় ঘরছাড়া শিশু




নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সাইবার জগতের নতুন গেম পোকেমন গো। এটি উন্মাদনা বেশ কয়েকদিন ধরেই তুঙ্গে। এবার ভারতে পোকেমন ‘স্টিকারের’ জন্য কার্যত বিপদে পড়েছিল ন’বছরের এক শিশু। গত শনিবার রাতে পোকেমনের নেশায় হারিয়ে যায় শিশুটি। শেষ পর্যন্ত হাওড়া স্টেশনে রেলরক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় মধ্য হাওড়ার বনবিহারী বসু রোডের একটি বহুতলের ফ্ল্যাট থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল অনিমেষ সিংহ নামে এক শিশু। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হাওড়া থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন তার মা সরিতা সিংহ। অনিমেষের বাবা শৈলেশ সিংহ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মী। বর্তমানে হাজারিবাগে রয়েছেন। দুই ছেলেকে নিয়ে সরিতা দেবী ওই বহুতলের পাঁচতলার ফ্ল্যাটে থাকেন। ওই বহুতলের চারতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন সবিতা দেবীর শ্বশুর-শাশুড়িও। শনিবার বিকেলে দাদা-দাদির ফ্ল্যাটে খেলতে গিয়েছিল শিশুটি। এরপর নিজেদের ফ্ল্যাটে আর ফেরেনি সে।

একটা সময় জানা যায়, শিশুটি সকালে তার মামাতো ভাইকে জানিয়েছিল, পোকেমনকে ধরতে সে মুম্বাই যাবে। সেই কথার সূত্র ধরেই হাওড়া স্টেশনে যান সরিতা দেবীরা। সরিতা দেবীর প্রতিবেশী সন্দীপ গনেরিবাল জানান, আরপিএফকে অনিমেষের ছবি দেখাতে তারা জানায়, এমনই দেখতে একটি শিশুকে কিছুক্ষণ আগে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর হাওড়া থানার পুলিশও স্টেশনে যায় এবং অনিমেষকে তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, গত ২ জুলাইও বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল অনিমেষ। বাড়ির কাছে গঙ্গার ঘাট থেকে ওকে পাওয়া যায়। সে সময়ে ওই শিশু জানিয়েছিল, এক ব্যক্তি তাকে মামার বাড়ি নিয়ে যাবে বলেছিল। সেই কারণেই শনিবার রাতে অপহরণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন সরিতা দেবী। অনিমেষ ওই ব্যক্তির কথা জানিয়ে তদন্তকারীদের জানিয়েছে, পোকেমন ধরতেই সে মুম্বাই যাচ্ছিল।

হাওড়ার পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র প্রকাশ সিংহ বলেন, ‘শিশুটি যে ব্যক্তির কথা বলছে, তার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাস্তায় বসানো সিসিটিভি-র ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

‘পোকেমন গো’ খেলাটি সাইবার জগতে নতুন আমদানি করা হলেও আদতে এই কার্টুন দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয়। তাই পোকেমনকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনও করছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা। তেমনই একটি বহুজাতিক সংস্থার খাবারের প্যাকেটে এই স্টিকার পেয়েছিল অনিমেষ।

(এসকে/জুলাই ২৫, ২০১৬)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স