Skip to main content

ভারতে গো-মূত্র বিক্রি রমরমা




নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : ভারতে গরুর দুধ নয় বরং দেদারসে বিক্রি হচ্ছে গরুর মূত্র। এ ব্যবসা এখন তুঙ্গে।

গতমাসে ভারতের গুজরাটের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গরুর মূত্রে স্বর্ণকণিকার সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছিলেন। এর রেশ না কাটতেই এখন ব্লুমবার্গের নতুন এক খবরে বলা হচ্ছে, গরুর মূত্র এখন ভারতের বাজারে হট কেকের মত বিক্রি হচ্ছে। রোগমুক্তির আশায় গো-মূত্র কেনার হিড়িক পড়ে গেছে৷

ভারতজুড়েই গো-মূত্র দামি জিনিসে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতে গরু হত্যা অনেকটা অঘোষিতভাবেই নিষিদ্ধ করেছে।

ভারতের নাগপুরে গরু বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘গো-বিজ্ঞান অনুসন্ধান’ এর প্রধান সমন্বয়ক সুনিল মানসিংকা ব্লুমবার্গকে বলেছেন, “প্রায় ৩০টি রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব গরুর মূত্র দিয়ে।”
আবার অনেক ভারতীয়ও বিশ্বাস করে যে, গো-মূত্রতে অসুখ সারে।

ভারতের জাতীয় আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কে শংকর রাও বলেছেন, গরু, মহিষ, ছাগল, উট, ভেড়া, গাধা, ঘোড়া এবং মানুষের মূত্র রোগ সারাতে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তবে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হচ্ছে গরুর মূত্র।

খবরে আরও বলা হয়, ভারতে বহুল বিক্রিত বাবা রামদেবের পাতাঞ্জলি পণ্যও গোমূত্র দিয়েই তৈরি। এটি গরুর মূত্রে তৈরি মেঝে পরিষ্কারক।

রামদেব পতঞ্জলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আচার্য বলকৃষ্ণ ব্লুমবার্গকে বলেন, “আমরা দিনে প্রায় ২০ টনের মতো গরুর মূত্র উৎপাদন করেও চাহিদা মেটাতে পারছি না।”

একটি গো-মূত্র থেরাপি ক্লিনিকের মালিক বীরেন্দ্র কুমার জৈন বলেছেন, হারবাল চিকিৎসায়ও গোমূত্র ব্যবহারের চেষ্টায় আছেন তিনি।

গত দুই দশক ধরে জৈনর ক্লিনিকে প্রায় ১২ লক্ষাধিক রোগী এমনকি ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসাও গোমূত্রে তৈরি ওষুধ দিয়ে করা হয়েছে।

(এসকে/আগস্ট ১০, ২০১৬)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স