Skip to main content

যেভাবে নির্বাচিত হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট




নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তাই এ দেশের অনেক কিছু নিয়ে বিশ্ববাসীর আগ্রহ রয়েছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কেননা অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যে হবেন তার ওপরই নির্ভর করে পরবর্তী বিশ্ব রাজনীতি কোন দিকে বাঁক নেবে। আর একদিন বাদেই সেই নির্বাচন। তাই জেনে নেওয়া যাক কীভাবে নির্বাচিত হন ক্ষমতাধর রাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্ট।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি কিছুটা জটিল। কৌশলগতভাবে পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট। প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সাধারণত চার দিয়ে বিভাজ্য বছরগুলোর নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার নির্বাচনী দিনটি নির্দিষ্ট। এ প্রথা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর।

প্রাথমিক ধাপ

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীকে অবশ্যই তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে। দ্বিতীয়ত, ৩৫ বছর বয়সী এবং তৃতীয়ত অন্তত ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাস করতে হবে। এছাড়াও যিনি পূর্বে দুইবার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি আর প্রার্থী হতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি অঙ্গরাজ্যে দীর্ঘ এক মাসব্যাপী ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়। এ জন্য আইওয়া রাজ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সমিতিতে নির্বাচন সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়। সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হয়।

দলীয় সম্মেলন

প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন হওয়ার পর ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান দল প্রার্থী মনোনয়নে সম্মেলনের আয়োজন করে। ১৮ জুলাই ওহিওতে রিপাবলিকান ও তার এক সপ্তাহ পর ফিলাডেলফিয়ায় ডেমোক্র্যাটিক সমর্থকদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রার্থীকে বাছাই করা হয়।

তিন পর্বে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক

নির্বাচনের আগে তিন পর্বের বির্তকে অংশ নিতে হয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের। এ বিতর্ক স্বাধীন কমিশন কর্তৃক পরিচালিত হয়। ১৯৭৬ সাল থেকে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান প্রার্থী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এ বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন।

ইলেকটোরাল কলেজ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ইলেকটোরাল কলেজ নামের একটি নির্বাচনী পদ্ধতি। এটির কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নেই। ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে একজনকে বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া। ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্রে মোট নির্বাচক বা ইলেকটরের সংখ্যা ৫৩৮ জন। এই ইলেকটরদের সরাসরি নির্বাচিত করে নিবন্ধিত ভোটাররা। প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটরাল ভোট নিশ্চিত করতে হয়।



ভোট প্রদান পদ্ধতি

একজন ভোটার নিজের পছন্দের প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত করতে মূলত ইলেকটর নির্বাচনের জন্য ভোট দেন। আর এ ইলেকটরদের ভোটেই নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট।

ফলাফল

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কংগ্রেসের একটি যৌথ অধিবেশনে ইলেকটোরাল ভোট গণনা করা হয়। সিনেটর সভাপতির তদারকিতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। আর নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন। সূত্র:  যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওয়েসসাইট, বিবিসি।

(এসকে/নভেম্বর ০৭, ২০১৬)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স