নিউজ
এক্সপ্রেস ডেস্ক : সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ
বাস করলেও ক্ষমতা আর অর্থ রয়েছে গুটিকয় মানুষের কাছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা
অক্সফাম একটি গবেষণায় জানিয়েছে, বিশ্বের ৩৬০ কোটি মানুষের যে সম্পদ রয়েছে সেই একই
পরিমাণ সম্পদ রয়েছে মাত্র ৮ জনের কাছে। সম্পদের এমন বৈষম্য ভবিষ্যতের জন্য শুভ নয়
বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে।
এই বিষয়টিকে
ঘিরে মার্কিন গণমাধ্যমও বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হচ্ছে, বিশ্বকে গোপনে ৫টি পরিবার নিয়ন্ত্রণ করছে!
যদিও এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। সেই পরিবারগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
১. রথসচাইল্ড পরিবার
পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী হিসেবে প্রথমেই এই পরিবারের নাম চলে আসে। যদিও
এই পরিবারের কোনো সদস্য স্বীকার করতে চান না তাদের অগাধ ধন-সম্পদের কথা। কিন্তু
সেই ১৭৭০ সাল থেকেই পৃথিবীর অর্থনীতির উপর এই পরিবারটি ছড়ি ঘুরিয়ে আসছে। পরিবারটির
প্রথম ক্ষমতাবান পুরুষ এমশেল মেয়ার রথসচাইল্ডের হাত ধরে যে গ্লোবাল সেন্ট্রাল
ব্যাংকিং সিস্টেম চালু হয় তা আজও বর্তমান। এই পরিবারকে ঘিরে নানা রহস্যও রয়েছে।
কারো কারো দাবি, বর্তমানে সক্রিয় ইলামুনাতি নামক গোপন সংগঠনটি এই পরিবারের হাত ধরেই
সংঘবদ্ধ হয়। এমনকি এযাবৎ বিশ্বে যত যুদ্ধ হয়েছে তার পেছনে অর্থায়ন এবং প্ররোচনা
ছিল এই পরিবারের।
২. রকফেলার পরিবার
বলা হয়, বিশ্বে প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতাটি যুক্তরাষ্ট্র এই
পরিবারের মাধ্যমেই অর্জন করে। রকফেলার পরিবার তার সম্রাজ্য বিস্তার করে ১৮৭০ সাল
থেকে। যদিও ক্ষমতাবান পরিবারটির প্রথম পুরুষ জন ডেভিসন রকফেলার সেই সময় মার্কিন
সমাজে সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নানা দুর্নীতি আর অপরাধের সঙ্গে
তার নাম জড়িয়ে ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনো সবচেয়ে ক্ষমতাবান হিসেবে রকফেলার
পরিবার পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আর্থিক এবং বাণিজ্যিক
প্রতিষ্ঠানগুলো এই পরিবারের হাতে জিম্মি। যদিও তা গণমাধ্যমে তেমন প্রচার পায় না।
সেটিও নাকি পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছাতেই।
৩. মর্গান পরিবার
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের স্বর্ণের বাজারটি এই পরিবারই নিয়ন্ত্রণ করে
থাকে বলে অভিযোগ। এমনকি ব্যবসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লৌহ,
বিদ্যুৎ এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এই পরিবার। বর্তমানে
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণের ভল্টটিও এই পরিবারের দখলে।
৪. ডু পন্ট পরিবার
বিশ্বের রসায়ন শিল্পের দখল এই পরিবারটির হাতে। এই মার্কিন পরিবারটি
রসায়ন শিল্পকে নিজেদের ইচ্ছামাফিক চালায় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই পরিবারের সম্মতি
ছাড়া বিশ্বের রাসায়নিক দ্রব্যের দাম পরিবর্তন হয় না। সেই ১৮০২ সাল থেকে পরিবারটি
বিশ্বে তাদের প্রভাব বজায় রেখেছে।
৫. বুশ পরিবার
বুশ পরিবারের ক্ষমতার বিস্তার ঘটে ১৮৯৫ সাল থেকে। প্রেসকট শেলডন
বুশ জন্মলাভের পর থেকেই ক্ষমতার নতুন দিকের উন্মোচন ঘটে। ওয়াল স্ট্রিটের
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকার পাশাপাশি তিনি সিনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
প্রেসকট বুশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট না হলেও তার ছেলে ও নাতি কিন্তু ঠিকই তা
হয়েছিলেন। মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা ছাড়াও বিশ্বে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে
সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ায় বুশ পরিবারের বদনাম রয়েছে। মার্কিন রাজনীতিতে এখনও বুশ
পরিবারের প্রভাব স্পষ্ট। এছাড়াও কেবিআর এবং হেলিবার্টন-এর মতো দু’টি বড় প্রতিষ্ঠানের
মালিকও এই পরিবার।
অভিযোগ আছে, এই পাঁচটি পরিবারই নাকি উত্থানের একেবারে গোড়া থেকে
বিশ্বকে চালানোর উদ্দেশ্যে একটি গোপন সংস্থায় যোগ দেয়।
(এসকে/মে ০৯, ২০১৭)
Comments
Post a Comment