Skip to main content

সৌদি নাগরিকত্ব পেলেন জাকির নায়েক




নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : পিস টিভি ও ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ)-এর প্রতিষ্ঠাতা ভারতের নাগরিক ডা. জাকির নায়েক সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ভারতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযুক্ত জাকির নায়েকের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছে সৌদি প্রশাসন। সংবাদমাধ্যম পর্যবেক্ষণকারী লন্ডনভিত্তিক সংস্থা দ্য মিডল ইস্ট মনিটরের বরাত দিয়ে আজ শনিবার ইন্ডিয়া টুডের খবরে জাকির নায়েকের সৌদি নাগরিকত্ব পাওয়ার কথা জানানো হয়।

ওই খবরে বলা হয়, জাকির নায়েককে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের গ্রেপ্তার থেকে রক্ষা করতে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ তার নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।

৫১ বছর বয়সী জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ) নিষিদ্ধ করেছে ভারত। ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজানে নিহত জঙ্গিদের কয়েকজন জাকির নায়েকের বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গুলশান হামলার পর জাকির নায়েকের কার্যকলাপ নজরদারিতে আনা হয়।

ধারণা করা হচ্ছিল, জাকির নায়েক গ্রেপ্তার এড়াতে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। গত বছরের নভেম্বরে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) জাকির নায়েক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। মিডল ইস্ট মনিটর বলছে, ভারতের একটি আদালত মুদ্রা পাচারের এক মামলায় গত মাসে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। সে সময় মালয়েশিয়া সফরে ছিলেন ৫১ বছর বয়সী এই টিভি বক্তা। পাঁচ বছর আগে মালয়েশিয়া সরকার দেশটিতে তাকে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেয়।

জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তার প্রতিষ্ঠিত আইআরএফকে অবৈধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। আইআরএফের প্রেসিডেন্ট ও এর সদস্যরা ‘অবৈধ কার্যকলাপকে’ প্রশ্রয় দিচ্ছেন উল্লেখ করে দিল্লি হাইকোর্ট সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন।
জাকির নায়েক অবশ্য শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ নাকচ করে আসছেন। আইআরএফকে নিষিদ্ধ ঘোষণার বিরোধিতা করেন তিনি।

১৯৬৫ সালে মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া জাকির নায়েক কিষানচাঁদ চেলারাম কলেজের পর টোপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিষয়ে লেখাপড়া করেন। পরে বিওয়াইএল নায়ার চ্যারিটেবল হাসপাতালেও তিনি লেখাপড়া করেন।

১৯৮৭ সালে ইসলামী বক্তা আহমেদ দিদাতের সংস্পর্শে আসেন নায়েক। এর কয়েক বছর বাদে ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করেন ধর্ম প্রচারের কাজ। সৌদি আরব সরকার তাকে ‘ইসলামের সেবক’ বিবেচনা করে ২০১৫ সালে ‘বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ দেয়।

(এসকে/মে ২০, ২০১৭)

Comments

Popular posts from this blog

হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন না সম্রাট আওরঙ্গজেব

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কেবল একজনই ভারতীয়দের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন - তিনি আলমগীর আওরঙ্গজেব। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওরঙ্গজেবের ইমেজ হলো একজন ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবে , যিনি হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর যিনি নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমনকি নিজের বড় ভাই দারা শিকোকে পর্যন্ত রেহাই দেননি। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বৃদ্ধ পিতাকে আগ্রার একটি দুর্গে তার জীবনের শেষ সাড়ে সাত বছর বন্দি করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি পাকিস্তানী নাট্যকার শাহীদ নাদিম লিখেছেন যে ভারত ভাগের বীজ সত্যিকার অর্থে সেদিনই বপন করা হয়েছিল , যেদিন আওরঙ্গজেব তার ভাই দারাকে পরাজিত করেছিলেন। জওহরলাল নেহরুও ১৯৪৬ সালের প্রকাশিত তার বই ‘ ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া ’ তে আওরঙ্গজেবকে একজন গোঁড়া ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। তবে মার্কিন ইতিহাসবিদ অড্রে ট্রাশকা তার বই ‘ আওরঙ্গজেব - দ্যা ম্যান অ্যান্ড দ্যা মিথ ’ বইয়ে লিখেছেন যে আওরঙ্গজেব হিন্দুদের ঘৃণা করতেন আর তাই মন্দির ধ্বংস কর

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

হরিণের রাজ্যে

শাহনেওয়াজ খান আমরা দশ-বারোজন মিলে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম হরিণের পালটাকে। ৬০-৭০টা হরিণ হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে পালটাকে ঘিরে ধরেছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আলো দ্রুত কমে যাচ্ছে। শেষ সময়, সুতরাং সবাই চারদিক দিয়ে এক নিঃশ্বাসে দৌড় দিলাম হরিণের পালকে আটকাতে। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য! আমার দু’পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে হরিণ। এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে পায়ের নিচের খুড়ের অংশগুলো ঠিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হরিণের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়ার ইচ্ছেটা শুরুতেই তো বড় বড় শিং দেখে মারা গিয়েছিল। এখন দৌড় দেখে উল্টো চুপসে গেলাম। মনে মনে প্রার্থনা শুরু করলাম, হে আল্লাহ, শিং বা খুরের আঁচড় যেন গায়ে না লাগে। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, এটা সুন্দরবন বা বিদেশি কোনো সাফারি পার্কের দৃশ্য? না, এটা আমাদের গর্ব নিঝুম দ্বীপের গল্প। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর দ্বীপে যেখানে হরিণই চাঞ্চল্যের উৎস। তবে এই হরিণগুলো কিন্তু শুধু দ্বীপের পরিবেশকেই নয়, মানুষগুলোকেও ব্যস্ত রাখে। দল বেধে এসে নষ্ট করে দেয় ক্ষেতের ফসল। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে শীত মৌসুমে গিয়েছিলাম নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স