Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2017

এখনো চলছে রোহিঙ্গা নিধন

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখনো রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে প্রমাণ পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে সেনা সদস্যদের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় বৌদ্ধরাও অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এমনকি ২৫ আগস্টের আগে থেকেই রাখাইনে সেনা অভিযান চালানোর প্রস্তুতির প্রমাণ পেয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতায় স্বাক্ষর করলেও এখন নিধনযজ্ঞ থামেনি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এরআরডব্লিউ। সমঝোতার পরও রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে ফেলার আলামত পেয়েছেন তারা। স্থানীয় সময় গত রোববার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইনে আংশিক বা পুরোপুরি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৩৫৪টি গ্রাম। এখনো বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণের পর সংস্থাটি জানায়, ছবিগুলো প্রমাণ করছে যে এই ধ্বংসযজ্ঞ এমন সময়েও চালানো হয়েছে যখন রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে মিয়া

সু চি’র সম্মতিতেই রোহিঙ্গা গণহত্যা

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’র সম্মতিতেই রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে বলে ধারণা ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার। এজন্য এক সময় শন্তিতে নোবেলজয়ী সু চি ও দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল অং মিন হ্লাইং বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। জেনেভায় বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে কথা বলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রা’দ আল হুসেইন। তিনি বলেন, ‘যে মাত্রায় এবং যেভাবে সেখানে (রাখাইন) সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে- তা অবশ্যই দেশের উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। ওই অভিযানে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।’ হুসেইন বলেন, ‘এজন্য মিয়ানমারের নেতাদের এক সময় গণহত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে।’ এ বিষয়ে সু চি ও হ্লাইংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউই বিবিসিকে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিবিসির সংবাদদাতা জাস্টিন রোল্যাট বলেন, ‘মিয়ানমারের নেতাদের ভবিষ্যতে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হতে পারে- জাতিসংঘের নজরদারি প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের

মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতে নেওয়া সম্ভব?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সম্প্রতি এমএসএফ-এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ২৫ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর  পর্যন্ত অন্তত ৬ হাজার ৭শ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, রাখাইনে সহিংসতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করা যায় কি না তা বিশ্লেষণ করেছেন বিবিসি’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রতিনিধি জোনাথন হেড- সাংবাদিক ও গবেষকদের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ ও শরণার্থীদের সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করলে কোনো সন্দেহের অবকাশ থাকে না যে মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। অধিকাংশ প্রতিবেদনই সবচেয়ে নিষ্ঠুর ঘটনাগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছে। তোলা তুলি নামের একটি গ্রামের সহিংসতার কাহিনী উঠে এসেছে গণমাধ্যমে। আমি কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলেছি যারা সহিংসতার ভয়ে পালিয়ে এসেছে, কিন্তু নিজেরা সহিংসতার শিকার হয়নি। এমএসএফ-এর প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতা সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা পাওয়া যায়। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে মামলা করার সম্ভা

জেরুজালেম ইস্যুতে জাতিসংঘে বৈঠক, তীব্র প্রতিক্রিয়া

      নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্র, ইউরোপ এবং জাতিসংঘ। এ নিয়ে শুক্রবার আলোচনায় বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। শনিবার এ নিয়ে বৈঠকে বসবে আরব লিগ। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের মধ্যে আটটি দেশ এই জরুরি অধিবেশন ডেকেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ছাড়াও বলিভিয়া, মিশর, ইতালি, সেনেগাল, সুইডেন, উরুগুয়ে রয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এই বৈঠক শুরু হবে। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এটা খুবই গভীর উদ্বেগের বিষয়। কারণ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ছাড়া এর (ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সঙ্কট) কোনো বিকল্প নেই। রয়টার্স জানিয়েছে, গত বুধবার ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পরপরই আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো এ সিদ্ধান্তকে ‘অস্থিরতা কবলিত অঞ্চলটিতে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রশাসনের পক্ষ

হিন্দু করসেবকরা বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার মহড়া দিয়েছিল

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যা শহরে সপ্তদশ শতকে তৈরি ঐতিহাসিক স্থাপনা বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলেছিল উন্মত্ত হিন্দু জনতা। এ ঘটনার পর ভারতে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হয় প্রায় দুই হাজার মানুষ (বেসরাকরি সংস্থাগুলোর হিসাবমতে কয়েক হাজার)। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার প্রস্তুতি চলছিল আগে থেকেই এবং ঘটনার আগের দিন একদল হিন্দু স্বেচ্ছাসেবক এটির ‘ড্রেস রিহার্সেল’ দিয়েছিল। আলোকচিত্র সাংবাদিক প্রভীন জৈন ছবি তোলার জন্য এই হিন্দু স্বেচ্ছাসেবকদের অনুসরণ করছিলেন। সেদিনের ঘটনার অনেক ছবিও তুলেছেন তিনি। প্রভীন জৈন বিবিসির কাছে বর্ণনা করেছেন সেদিনের ঘটনাবলী- আমি অযোধ্যা এসে পৌঁছাই ১৯৯২ সালের ৪ ডিসেম্বর। সেই সন্ধ্যায় অযোধ্যা ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। আমি তখন ‘দ্য পাইওনিয়ার’ পত্রিকায় কাজ করি। তারা আমাকে এই অ্যাসাইনমেন্টে পাঠিয়েছে। হিন্দু করসেবক এবং উগ্রপন্থী হিন্দু নেতাদের যে দলটি বাবরি মসজিদ চত্ব্বরে সমবেত হবে, আমাকে তাদের ছবি তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) হাজার হাজার কর্মী তখন সেখানে জড়ো হয়েছে। এই দলটি ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদের

সবচেয় দীর্ঘস্থায়ী রংধনু

তাইওয়ানের রাজধানীর তাইপের উত্তর-পূর্বাংশের আকাশে গত সপ্তাহে দেখা যায় এ যাবৎকালের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের রংধনু। চাইনিজ কালচার ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, রংধনুটি ৯ ঘণ্টা স্থায়ী ছিল।  বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি পর্যবেক্ষণ করে তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫৭ মিনিট থেকে বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ৮ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট সময় ধরে আকাশে দেখা যায় রংধনুটিকে।  গিনেস ওয়ার্ল্ড বুক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হচ্ছে এই তথ্য।  গিনেস বুক অনুযায়ী পূর্বে সবেচেয়ে বেশি সময় ধরে রংধনু দেখা গিয়েছিল ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের আকাশে।  ১৯৯৪ সালে দেখা দেওয়া ওই রংধনু স্থায়ী হয়েছিল ৬ ঘণ্টা।

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার অবস্থা ভয়াবহ

নিউজ এক্সেপ্রেস : বাংলাদেশে শিক্ষার মান নিয়ে সরকারের পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষার মাত্র ৪০ শতাংশ স্কুল থেকে পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন শীর্ষক এই গবেষণায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান নিয়ে আশঙ্কাজনক চিত্র ফুটে উঠেছে। পঞ্চম শ্রেণীর ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীরই গণিত শিক্ষার মান নিম্ন। অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণীর ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর বাংলা ভাষা শিক্ষার মান নিম্ন । দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৬০০। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২কোটি ১৯ লাখ। শিক্ষা গবেষকরা বলেন, এইসব স্কুলের শিক্ষার মানের সাথে দেশের সামগ্রিক শিক্ষার মানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা গবেষক রাশেদা কে চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার মান এবং অপ্রতুলতা খুবই উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, তাদের পরিচালিত ২০১৫ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে স্কুলে শিক্ষা না পেয়ে শিক্ষার্থী কোচিং নির্ভর হয়ে পড়ছে। সরকারের প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গিয়াস-উদ্দিন আহমেদ বিবিসি

বেশিরভাগ রোহিঙ্গারই ফেরার তথ্যপ্রমাণ নেই

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক: রাখাইনের অধিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে যে সমঝোতা বা অ্যারেঞ্জমেন্ট হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ যাচাই-বাছাই করে তাদের ফেরত নেওয়া হবে। দুই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও এতে বলা হয়েছে। কিন্তু ব্যাপক অত্যাচার-নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকের কাছেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই।   বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুতুপালং শিবিরের ফাতেমা বেগম এসেছেন খালি হাতে। তার ভাষ্যে প্রাণ বাঁচানোই ছিল তাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য। “কাগজপত্র ছিল কিন্তু সব পুড়ে গেছে। আমরা জীবন নিয়ে কোনোমতে পালিয়ে এসেছি। আমরা অত্যাচার, জুলুম সহ্য করতে না পেরেই চলে এসেছি বাবা...” বলেন ফাতেমা বেগম। ফেরত যাওয়ার প্রশ্নে রোহিঙ্গাদের সবারই মোটামুটি একই রকম বক্তব্য। তারা চান রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি, সমান সুযোগ ও নাগরিক অধিকার এবং স্থায়ী শান্তি। এসব নিশ্চিত না হলে তারা আর রাখাইনে ফিরতে চান না। ফাতেমা বেগম বলছিলেন তাদের রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা। কিন্তু এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে যে চুক্তি হয়েছে, সেখানে রোহি