Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2016

বিবাহকাব্য ও যাত্রা দুর্ভোগ

শাহনেওয়াজ খান ১. যেতে চেয়েছিলাম শুক্রবার সকালে। দুপুরে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ওই রাতেই ফিরব। কিন্তু বন্ধুরা সবাই আগের দিন (বৃহস্পতিবার) যাওয়ার পক্ষে মত দিল। অনেক দিন পর একসাথে দেখা হবে। অন্তত একটা রাত একসঙ্গে থাকা চাই। অনেকটা পুনর্মিলনীর মতোই। সুতরাং কোনো কথা নেই, বৃহস্পতিবারেই যাব। ফরহাদও অবশ্য ওর বিয়ে উপলক্ষ্যে বৃহস্পতি ও শুক্রবার উপস্থিত থাকার দাওয়াত দিয়েছে। দাওয়াতি সবাই রাজি থাকলেও শেষ মুহূর্তে এসে যেতে পারল না এনাম। ঢাকা থেকে তাই আমি আর ইমরোজ যাচ্ছি। এখান থেকে ফেনীগামী একটাই বাস ‘স্টারলাইন’। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাই যথাসময়ে বাসের টিকিট পাওয়া অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। অফিস থেকে বেরুনোর পর অবশ্য আমাকে টিকিটের ঝামেলা পোহাতে হয়নি। নন-এসি বাসের টিকিট না পেলেও এসি বাসের টিকিট কেনার যুদ্ধে জয়ী হয় ইমরোজ। ৩৫০ টাকার স্থানে ৩৬৫ করে লেগেছে এই আর কি। তবুও তো সোয়া ৫টার টিকিট পাওয়া গেল। টিকিট পাওয়ার আনন্দ অবশ্য খানিকটা ম্লান হয়ে যায় পথে। রাত ১১টার পরে ফেনী গিয়ে পৌঁছাই। অথচ একই সার্ভিসের সাড়ে ৬টায় ছাড়া নন-এসি বাস আমাদের আগে পৌঁছায়! আনন্দ ম্লান হওয়ার কারণ শুধু দেরিতে পৌঁছানোই নয়, সাড়ে ৬টার বাসে

ধার ঐতিহ্য

শাহনেওয়াজ খান বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ‘ধার’ বিষয়টি কারণে-অকারণে সবারই কম-বেশি প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে আমি বোধ হয় কয়েক ধাপ এগিয়েই ছিলাম। না, টাকা ধার নেওয়ার দিক থেকে নয় বই ধার নেওয়ার ক্ষেত্রে! বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন বন্ধুদের কাছ থেকে বই ধার নিয়ে আর ফেরত দিতেন না। আমার বিষয়টা অবশ্য সে রকম নয়। আমি যথাসময়ে বই ফেরত দিতাম। কারণ, বইগুলো ছিল সিলেবাস ও পরীক্ষার পড়ার জন্য। বিষয়টা অনেকের কাছে এতটা অসহনীয় (!) পর্যায়ে গিয়েছিল যে, চতুর্থ বর্ষে এসে হলের কয়েক সহপাঠী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় আমাকে বই ধার না দেওয়ার। যদিও তাদের সেই উদ্যোগ শুরুতেই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। যারা ধার দেবে না বলেছিল তাদের কাছ থেকেই প্রথমে ধার নেই। তারপরও বুঝা যায়, আমার ধার নেওয়ার ঘটনায় কতটা বিরক্ত (!) বোধ করত তারা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটাই যার বই ধারের মাধ্যমে চলেছে আনুষ্ঠানিক বিদায়টাতেও তার সেই ঐতিহ্য বজায় না থাকলে চলে! তবে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের সমাবর্তন পর্বে বই ধার নেওয়ার কোনো উপায় না থাকায় বেছে নিতে হয় অন্য পদ্ধতি। আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল বিদায়বেলায়ও যেন ধার ঐতিহ্য বজায় রাখতে পারি। শুধু ইচ্ছা নয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্র

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে জাতিসংঘের সতর্কতা

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে মিয়ানমার সরকারের ‘গাছাড়া’ ভাব বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রা’দ আল হুসেন। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেত্রী নোবেলজয়ী অং সান সু চিকে বিরোধপূর্ণ উত্তরাঞ্চল পরিদর্শনের আহ্বান জানানোর সপ্তাহখানেক পর এক সতর্কবার্তায় হাই কমিশনার এ শঙ্কা প্রকাশ করেন। গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের তিনটি সীমান্ত পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’হামলায় নয় সীমান্ত পুলিশ নিহত হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলাগুলোতে শুরু হয় সেনা অভিযান। এরপর থেকে সহিংসতায় বহু রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। সহিংসতা থেকে বাঁচতে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। ২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় শতাধিক মারা যাওয়ার পর এ দফাই এত বেশি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বাংলাদেশ সীমান্ত পানে ছুটছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এবারের সেনা অভিযানে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া এবং বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সরকার তা অস্বীকার

অন্ন-বস্ত্রের সঙ্কটে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা

নিউজ এক্সপ্রেস : বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের নজরদারি এড়িয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের পালিয়ে আসার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এক হিসাবে গত কয়েক সপ্তাহে ১৫,০০০ রোহিঙ্গা ঢুকেছে, এবং বাংলাদেশের টেকনাফ অঞ্চলে ঢোকার পর তাদের আশ্রয় মিলছে মূলত আগে থেকে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে। মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটে সহিংসতার কারণে গত প্রায় দেড় মাস ধরে কয়েক হাজার মানুষ নাইক্ষ্যংখালী, মৌলভী বাজার, চৌধুরিপাড়া, রংগীখালী, আলীখালী ও লেদা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। মিয়ানমার থেকে আসার সময় শুধু প্রাণ বাঁচানোটাই তাদের কাছে মুখ্য ছিল। নাফ নদী পাড়ি দিয়ে সীমান্ত বাহিনী চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা এসে উঠেছেন টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায়। আশ্রয় নিয়েছেন এখানেই কয়েক বছর ধরে যেসব রোহিঙ্গারা স্থায়ী, অস্থায়ী ক্যাম্পে রয়েছে তাদের কাছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার সময় প্রাণ বাঁচানো উদ্দেশ্য থাকলেও এখন সামনে নতুন সঙ্কট। থাকা, খাওয়া, নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব রয়েছে। জোবায়দা ১৫ দিন আগে পরিবারের ছয়জন সদস্য নিয়ে পালিয়ে আসে। এখানে এসে শুধু থাকার আশ্রয় পেয়েছে একটি পরিবারে। কিন্তু প্রতিদিনের খাবারের

বিপন্ন মানবতা

মিয়ানমারের উত্তর মংডু থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা অন্তত ১৫ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে গত রোববার রাতে গুলি করে হত্যা করে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। আজ সোমবার নাফ নদীর বাংলাদেশ সীমান্তে এভাবেই কাঁদামাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় এক শিশুর লাশ।

শুটিংয়ে নায়িকাকে সত্যি সত্যি ধর্ষণ

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : চলচ্চিত্রের ইতিহাসেই 'লাস্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস' সিনেমাটিকে নানা কারণে স্থায়ী আসন দিতে হয়। সমালোচকরাও তা দিতে কার্পণ্য করেননি কখনও। বার্নার্দো বার্তোলুচ্চির কাল্ট সিনেমা হিসেবে তার গুরুত্ব জানতেই হয় ফিল্ম স্টাডির শিক্ষার্থীদের। কিন্তু আম দর্শক ছবিটিকে মনে রাখেন এমন কিছু কারণে, যা সব সময়ে হয়তো স্বস্তিবাচক নয়। অপরিমিত এবং অতিমাত্রিক যৌনতার অজুহাতে ছবিটিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান অনেকেই। কিন্তু সেই সব সমালোচনার জবাবে বার্তোলুচ্চির ভক্তরা বলেন, এই ছবিতে অন্তর্লীন অস্তিত্ব-সংকটের কথা,যাকে অতিক্রম করা যায়নি ১৯৭২ থেকে আজও। এবার ‘লাস্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস’ আবার সংবাদ শিরোনামে কিন্তু এক আশ্চর্য কারণে। পরিচালক বার্নার্দো বার্তোলুচ্চির এক অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার সম্প্রতি প্রকাশিত হলে জানা যায়, এই ছবির এক অতি ভয়াবহ ধর্ষণদৃশ্যের শুটিংয়ের সময়ে অভিনেত্রী মারিয়া শ্নেইডারের সম্মতিই নেননি তিনি। নায়িকার সম্মতি ব্যতিরেকেই তোলা হয় সেই বিতর্কিত দৃশ্য। এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার পরে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জেসিকা চ্যাস্টেইন এবং ক্রিস ইভান্সের মতো হলিউড তারকা। টুইটারে

রোহিঙ্গাদের নির্মূলের চেষ্টা হচ্ছে : মালয়েশিয়া

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ‘জাতিগতভাবে নির্মূলের’ চেষ্টা বলে অভিহিত করেছে মালয়েশিয়া। আজ শনিবার মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ মনোভাব প্রকাশ করে। “আশিয়ানের (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশন) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির প্রতি অবিচল থেকে সার্বভৌম সম্পর্কগুলোর প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রদ্ধা দেখানো উচিত”, গত শুক্রবার মিয়ানমারের এমন বক্তব্যের পর কঠোর এ বিবৃতি দিল মালয়েশিয়া। বিবৃতিতে বলা হয়, “ঘটনা হচ্ছে শুধুমাত্র একটি নৃগোষ্ঠীকে বিতাড়িত করা সংজ্ঞামতে জাতিগত নির্মূলকরণ। এই কাজ এখনই বন্ধ করতে হবে এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এগুলো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।” রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার উপস্থিতি বিষয়টিকে একটি ‘আন্তর্জাতিক ইস্যুতে’ পরিণত করেছে। রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রবিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি