Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2017

জলাবন ও হাম হাম রোমাঞ্চ (পর্ব-২)

শাহনেওয়াজ খান রাতারগুল থেকে সিলেট শহরে ফিরে খুব একটা সময় নিলাম না। ঝটপট প্রস্তুত হয়ে উঠলাম বাসে। প্রথমে ইচ্ছা ছিল মৌলভীবাজার নামার। কিন্তু জানলাম, মৌলভীবাজার সদর থেকে শ্রীমঙ্গল খুব কাছে। সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের রাস্তা। তাই মৌলভীবাজার সদরে না নেমে সরাসরি শ্রীমঙ্গল চলে গেলাম। গিয়েই প্রথমে হোটেলের সন্ধান করলাম। প্রধান সড়কের পাশেই হোটেলে রুম ঠিক করে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। রাতে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম রেল স্টেশনের ‍কাছে। সেখানে স্থানীয়দের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম কাছেই বিজিবির ক্যাম্প ও মার্কেট আছে। রাতের খাবারের আগে বেশ সময় আছে আমাদের হাতে, তাই সোজা চলে গেলাম সেখানে। ওখানে গিয়ে সাত রঙের চায়ের সন্ধান পেলাম। দোকানির কাছে জানতে পারলাম তিনিই নাকি এই চায়ের উদ্ভাবক। তার আর কোনো দোকান নেই। তার কাছ থেকে শিখেই অনেকে নানা জায়গায় দোকান দিয়েছে। কিন্তু তিনি জোর দিয়েই বললেন, তার মত করে আর কেউ এই চা বানাতে পারে না। সাথে সাথে মনে পড়ল মাধবকুণ্ডে কি তবে তার শিষ্য কারো হাতেই খেয়েছি? প্রশ্নটা করতেই তিনি তাকে নিয়ে হওয়া পত্রিকার সংবাদের কপি দেখালেন। পাশাপাশি বললেন এই রেসিপি সাপ্লাইয়ের জন্য তাকে ম

দাঁড়িয়ে পানি পান কি ঠিক?

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : সময় কিংবা অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করি। কিন্তু এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা ডেকে আনছি বিপদ। একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ভুগতে হচ্ছে কিডনি সমস্যায়। শরীরে পানির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু ভুল নিয়মে পানি, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ঢকঢক করে পানি পানের অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়িয়ে পানি পানের কুফল শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে: পানি পানের পরেই শরীরের ছাঁকনিগুলো শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়। ফলে, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাকস্থলীতে ক্ষত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর্থারাইটিসের আশঙ্কা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হাড়ের জোড়ায় কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশ

জলাবন ও হাম হাম রোমাঞ্চ (পর্ব-১)

শাহনেওয়াজ খান মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে সিলেট যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। নাহিদ ও ইমরোজ কথা দিয়েছিল তারা অবশ্যই যাবে। কিন্তু পরীক্ষা শেষে দেখা গেল সিলেট যাওয়ার বিষয়ে কেউ তেমন আগ্রহী নয়। এর চেয়ে বরং কাছে কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা। সিদ্ধান্ত হল বান্দরবান যাওয়া হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিলেটের তুলনায় বান্দরবান ভ্রমণের খরচ ঢের কম। তার উপর আছে বান্দরবানের ছেলে মেহেদী, যে আবার পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত। সুতরাং খরচ আরো কমবে। নাহিদ তাই একটু দোটানা নিয়েই বলল, “দোস্ত চল বান্দরবানেই যাই। আসলে সিলেট যাওয়ার মত টাকা এই মুহূর্তে সবার হাতে নেই।” সবার জন্য তাই নিজের ইচ্ছাকে আপাত বলি দিয়ে বান্দরবান গেলাম (ভাইভার পর অবশ্য শিক্ষা সফর হিসেবে সিলেট যাওয়া হয়েছিল)। কিন্তু ইমরোজকে ভ্রমণের জন্য রাজি করানো গেল না। আমার একগুঁয়েমিতাকে মনের মাঝেই রাখলাম। সিলেটের কথা যেহেতু আগেই স্থির করেছি তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম এসে একাই সিলেট চলে যাব। যেই কথা সেই কাজ। বান্দরবান থেকে ফিরে চট্টগ্রাম হয়ে সরাসরি চলে গেলাম সিলেট। সেখানে চাকরিসূত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী নেয়ামুল অবস্থান করছে। ফোনে যোগায়োগ কর

ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার

শাহনেওয়াজ খান রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে মানুষের মৌলিক অধিকার ৪টি— খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা। অনেকে এর সঙ্গে শিক্ষাকেও যোগ করে থাকেন। তবে আমাদের বাংলাদেশিদের কাছে মনে হয় এগুলোর চেয়েও বড় আরেকটি অধিকার রয়েছে, সেটা হল— ভোটাধিকার। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে জন্ম নেওয়ার পর কয়জন তাদের নাগরিক মৌলিক অধিকার পূর্ণরূপে ভোগ করতে পেরেছেন তা খুঁজতে অনুবীক্ষণ যন্ত্র লাগবে। তবে কতজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। কি মনে হয়, বাঙালির কাছে মৌলি ক অধিকারের চেয়ে কাছে ভোটাধিকারই বেশি গুরুত্বপূর্ণ! অনেকটা তাই। এ জন্যই তো মৌলিক অধিকার হরণকারী নেতাদেরই ভোট দিতে বারবার ছুটে যাই আমরা। তবে মাঝে মাঝে এতে ছন্দপতন ঘটে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভোট দিতে যেতে পারি না আমরা। যেমন— শেখ হাসিনার অধীনে ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন ও ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচন। এর আগেও এ ধরনের একতরফা ও প্রহসনমূলক সংসদ নির্বাচন দেখেছে বাংলাদেশের নাগরিকরা। শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে ১৯৭৩ সালে, জিয়াউর রহমানের অধীনে ১৯৭৯ সালে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অধীনে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে এবং খালেদা জিয়ার অধীনে ১৯৯৬

Oral sex spreading unstoppable bacteria

News Express Desk: Oral sex is producing dangerous gonorrhoea and a decline in condom use is helping it to spread, the World Health Organization has said. It warns that if someone contracts gonorrhoea, it is now much harder to treat, and in some cases impossible. The sexually transmitted infection is rapidly developing resistance to antibiotics. Experts said the situation was "fairly grim" with few new drugs on the horizon. About 78 million people pick up the STI each year and it can cause infertility. The World Health Organization analysed data from 77 countries which showed gonorrhoea's resistance to antibiotics was widespread. Dr Teodora Wi, from the WHO, said there had even been three cases - in Japan, France and Spain - where the infection was completely untreatable. She said: "Gonorrhoea is a very smart bug, every time you introduce a new class of antibiotics to treat gonorrhoea, the bug becomes resistant." Worryin

ওরাল সেক্সে ভয়ংকর ব্যাকটেরিয়া

নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক : শারীরিক সংসর্গের সময় ওরাল সেক্স (যৌনক্রিয়ার ক্ষেত্রে মৌখিক স্পর্শ বা মুখমেহন) করলে ভয়ংকর মাত্রায় গনোরিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর সাম্প্রতিক সময়ে জন্মনিরোধক (কনডম) ব্যবহারে অনীহা বাড়ায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডব্লিউএইচও সতর্ক করেছে, এভাবে যদি কারো গনোরিয়া রোগটি হয়ে যায়, তাহলে এ সময়ে তা নিরাময় করা অনেক কঠিন। কিছু ক্ষেত্রে তা অসম্ভবও বটে। ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌনতার মাধ্যমে ছড়ানো এই রোগের সংক্রমণ শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিককে প্রতিরোধ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই রোগ নিরাময়ে কার্যকরী নতুন ওষুধ খুব বেশি নেই। এ কারণে বিষয়টি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সারা বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ মানুষ যৌনতার মাধ্যমে সংক্রমণজনিত এ রোগে আক্রান্ত হয়। আর এর কারণে কেউ বন্ধ্যাও হয়ে যেতে পারে। ৭৭টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচও বলছে, গনোরিয়া ভয়াবহভাবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ থিওডোরা উয়ি বলেন, জাপান, ফ্রান্স ও স্পেনে কমপক্ষে তি